বীজ শোধন মানেই অধিক ফলন।বীজ শোধন হচ্ছে  বীজের বাইরে  অথবা বীজের 
মধ্যে অতি ক্ষুদ্র জীবকনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জৈবিক ও  রাসায়নিক 
প্রক্রিয়া । বীজ শোধন করা হলে অতি ক্ষুদ্র জীবানুর হাত থেকে বীজ ও চারা গাছকে 
রক্ষা করে । বীজ শোধন করে ফসল লাগানোর ফলে  গাছের সার্বিক বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে , ফসলের 
উৎপাদন বাড়ে ।
 জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে ৮২ লাখ ১০ হাজার টন উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশ  
আলু উৎপাদনে রয়েছে অষ্টম স্থানে। এক দশক আগেও উৎপাদন ছিল অর্ধলাখ টনের নিচে। এখন তা এগোচ্ছে কোটি টনের দিকে।
 এ সাফল্য বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে আলু উৎপাদনকারী শীর্ষ দশ দেশের কাতারে। উৎপাদনে বিস্ময়কর সাফল্যই কেবল নয়, আলু এখন দেশের 
অন্যতম অর্থকরী ফসলও। মাধ্যম হয়ে উঠেছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও। গত বছর ৩ 
কোটি ৩০ লাখ ডলারের আলু রফতানি হয়েছে। অথচ এর আগে বিশ্বের ২০টি দেশ থেকে 
বাংলাদেশকে আলু আমদানি করতে হতো।
আলু উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা রক্ষা ছাড়াও আরো অধিক ফলনের জন্য আলু রোপনের পূর্বে আলু বীজ শোধন অতিব জরুরী। বর্তমানে মাঠে আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই আলু লাগানোর পুর্বে বীজ শোধন করতে হবে। কার্বেন্ডাজিম+ থিরাম গ্রুপের অথবা শুধু কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের  ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়। বীজ শোধনের জন্য যে কোন কৃষক  বাজার থেকে বীজ শোধক প্রোভেক্স , ভিটাভেক্স, ভিটাফো-২০০ এফ এফ, হাদাক  ইত্যাদি পাউডার  কিনে প্রতি ১০ কেজি আলু বীজের জন্য ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম  পাউডার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে আলু বীজ ৫ থেকে ১০ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।এরপর পানি থেকে তুলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়ায় শুকিয়ে জমিতে রোপন করতে হবে । এভাবে আলু বীজ শোধন করে রোপন করা হলে  বীজবাহিত রোগ থেকে আলু রক্ষা করে অধিক ফলনের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। 
                                                 
                                            
উত্তর সমূহ